আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁহ ঈদগা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার সদরের ঈদগাহ’র সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার হোছাইনের পিতা শফিউজ্জামান(৬৭) বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টার দিকে মদীনায় রাসূল (সাঃ) এর রওজা মোবারক জিয়ারতকালে ঢলে পড়েন ।দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন(ইন্নালিল্লাহী——রাজেউন)। এসময় সাথে ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই ফুলছড়ি ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মৌলানা মনিরুজ্জামান খান।মরহুম শফিউজ্জমান দুই ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে নুর হোছাইন অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও ছোট ছেলে আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁহ’র সিনিয়র সাংবাদিক ও শিক্ষক।কন্যাদের বিভিন্ন সম্ভ্রান্ত পরিবারের বিবাহ দেন।তিনি খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মোঃহোসেনের বড় সন্তান। বিগত চার বছর পূর্ব থেকে তিনি কক্সবাজার সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিসে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। বিগত আড়াই বছর পূর্বে আকস্মিক ভাবে তার সহধর্মিনী তৈয়বা বেগমও ইন্তেকাল করেন।
উল্লেখ্য , মরহুম শফিউজ্জমান ও তারৌ ছোট ভাই মৌলানা মনিরুজ্জামান খান দুই ভাই হজ্জ করতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৭ জুলাই বুধবার রাত ১১ টার ফ্লাইটে সৌদি আরবের মদীনায় পৌঁছেন ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে।মদীনায় পৌঁছে দু’ভাই একটু বিশ্রাম নিয়ে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১২ টার দিকে মদীনায় হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর রওজা মুবারক জেয়ারতকালে শফিউজ্জামান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন(ইন্নালিল্লাহী——-রাজেউন) । মরহুম শফিউজ্জামান হজ্বেযাওয়ার পূর্বে সন্তানদের অছিয়ত করেন,হজ্ব করতে গিয়ে যদি সেখানে তার মৃত্যু হয়,তাকে দেশে না এনে যেন সেখানে দাফন করা হয়। সে অছিয়ত অনুযায়ী মদীনার জান্নাতুল বক্কীতে দাফন করার জন্য মরহুমের সাথে থাকা ছোট ভাইকে পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের বড় ছেলে দায়ীত্ব অর্পন করেছেন বলে জানান ছোট ছেলে সাংবাদিক আনোয়ার হোছাইন।
পাঠকের মতামত: